ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলী ভাসমান হাটে শাক-সবজি ও ফলমূল বিক্রি হয়। সম্প্রতি ভাসমান এ বাজারে ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু হয়েছে। ফলে চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল নৌকায় করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করতে পারবেন। এতে থাকবে পেয়ারা, আমড়া, পেঁপে, কলা, কাঠাল, আনারস, লেবু, কাকরোল, মরিচ, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল-মূল।
জানা যায়, মহামারী করোনায় মহাসংকটে পড়েছে ঝালকাঠির এ ভাসমান হাট-বাজার। কৃষিপণ্যের পাইকার না থাকায় উৎপাদিত সবজি আর ফল-মূল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তাই ভাসমান বাজারে ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু করা হয়েছে। ফলে কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন সারাদেশে।
স্থানীয়রা জানান, গতবছর এ ভাসমান হাট-বাজার পরিদর্শন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। পরিদর্শন শেষে তিনি ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ফলে সম্প্রতি ঝালকাঠির ভীমরুলী বাজারে চালু হয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই জোন।
ছবিঃ আরিফ রহমান
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারকারী সুজন হালদার শানু বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষ এ ওয়াইফাই সম্পর্কে জেনে গেছে। বাসায় বসে থেকে মানুষ যদি পণ্য চায়, তা তিনি পেয়ে যাবেন।’
সবজি চাষি দেবব্রত হালদার বিটু বলেন, ‘এখানকার সবজি উৎপাদনে কোনরকম সার বা রাসায়নিক দ্রব্য না দিয়ে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এতে সবজিতে পোকার আক্রমণও কম হয়। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু সবজি উৎপাদন করা যায়।’
কৃষকর পঙ্কজ বড়াল ও গৌতম মিস্ত্রি বলেন, ‘করোনার কারণে দুর্দশায় পড়ছি। পাইকাররা আসছেন না। তাই আমরা সমস্যায় পড়ছি। সরকার আমাদের দিকে নজর না দিলে আমরা শেষ হয়ে যাব।’
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘এলাকার জনগণকে আমরা সুবিধা দিতে পেরেছি। ফলে তারা তাদের পণ্যগুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকরা ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের কৃষিপণ্যের অনলাইন বাজার ধরতে পারবেন।’