বাবী, এইডা কি হুনলাম! বাইজান বলে…
ঠিকই হুনছোস্। তোর বাইয়ের স্ববাব জানোছ না? হের কয়দিন ফর ফর নতুন নতুন সুক লাগে।
আমনের রাগ অইতাছে না? অহমান লাগতাছে না??
কিয়ের লাইগ্গা? যে মানুষডা নিজের বুজডা ছাড়া আর কারো বুজ বুজে না, হের লাইগ্গা?
আমি এইত্তা ভাবা ছাইড়া দিছি বইন।
যা মন চায় করুক।
এডা ঠিক কইলেন না। আগে যা করছে করছে। এহন, এই বয়সে! যেহানে ঘরে পোলার বউ আছে। হেই হানে তাইনে কেমনে নয়া বউ লইয়া আয়ে?
তোর বাইরে জিগা। আমারে জিগাস্ ক্যান?
হগলতে বুঝতাছে আর তাইনে বুজে না।
ক’তো, তোগর কাউরে আমি কম করি!
কি করি নাই এই সংসারডার লাইগ্গা।
এই যে বলতে গেলে শিশুকালে বউ অইয়া আইছি। বছর দুই গুরতে না গুরতেঐ শাশুড়ি গেল গা। তোরা এত্তগুলান বাই-বইন।
সবডিরে তো আমিই বড় করলাম।
নিজের কোলেও আছে একখান।
কিসের কমতি আছে কইতে পারোছ?
তারপরও তাইনের বিয়া করোন লাগে।
খালি নতুন শরীরের গন্দ চায়, মন চায় না?
এমন মানু আমার দরকার নাই।
তুমি হাল ছাইড়া দিলে
সব শেষ অইয়া যাইবো বাবি।
যা কিছু কছ্, এইবার আর আমি টলতাছি না।
তাইনে, তাইনের সুক লইয়া থাহুক।
আমি আমার সংসারে থাহুম।
স্বয়ামী ছাড়াও সংসার অয়।।
(নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত)
কবিঃ নাসরিন গীতি